Header Ads Widget

Blog Header

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস: মানবতার কণ্ঠস্বর জাতিসংঘে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কেবল একটি রাজনৈতিক অবস্থান নয়, বরং মানবতার পক্ষ থেকে উচ্চারিত এক ঐতিহাসিক ঘোষণা।

আজকের পৃথিবী যখন ভৌগোলিক স্বার্থ, জাতিগত সংকীর্ণতা ও শক্তির রাজনীতির অন্ধকারে নিমজ্জিত—তখন ড. ইউনূস আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, মানবিক মূল্যবোধই হলো সভ্যতার সত্যিকার মাপকাঠি।

🔹 ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তার অবস্থান

“গাজায় যা ঘটছে তা একটি নির্বিচার গণহত্যা। শিশুর মৃত্যু, হাসপাতাল ধ্বংস, মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন—এগুলোকে উপেক্ষা করলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।” — ড. ইউনূস

তিনি কেবল নিন্দা করেননি, বরং সমাধানের স্পষ্ট পথও নির্দেশ করেছেন:

  • 👉 পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
  • 👉 ১৯৬৭ সালের সীমারেখায় ফিরে গিয়ে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান।

🔹 কেন এই বক্তব্য ঐতিহাসিক?

জাতিসংঘের মতো মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে এমন স্পষ্টভাষী, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বক্তব্য দেওয়া সত্যিই গৌরবের বিষয়। তিনি আমাদের সামনে শুধু কূটনৈতিক ভাষা আনেননি, এনেছেন বিবেকের ডাক।

🔹 আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা

একজন নোবেল বিজয়ী, একজন অর্থনীতিবিদ, একজন চিন্তাবিদ—আজ তিনি মানবতার কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়ালেন। একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ড. ইউনূসের এই বক্তব্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মানবিক রাজনীতির পথে অনুপ্রাণিত করবে।

পরিশেষে

ফিলিস্তিনের মুক্তির প্রশ্নে আমরা নিরপেক্ষ থাকতে পারি না। ড. ইউনূস আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ইতিহাস একদিন আমাদের জিজ্ঞেস করবে— “তোমরা তখন কোথায় ছিলে?”

আজ আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একজন বিশ্বমানব, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, সেই প্রশ্নের উত্তর ইতিহাসের পাতায় লিখে দিয়েছেন।

✍️ রবিউল জিহাদ
রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট ও কলাম লেখক