প্রকৃতির রাণী নামে পরিচিত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মধ্যে ২৫০৫.৭৩ বর্গ কিমি অংশ নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা । এ জেলায় রয়েছে দেশের বৈচিত্রময় অনেক নিদর্শন। যা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের মনে অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করে।যার জন্য দেশের বাকি ৬৩ জেলা সহ বিদেশি বহু পর্যটক ভীড় জমায় এ অপরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা প্রকৃতির রাণী খাগড়াছড়ি'তে।
খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি পার্বত্য জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের একটি "এ" শ্রেণীভুক্ত জেলা।
খাগড়াছড়ির প্রাচীন নাম ছিল "তারক"। "খাগড়াছড়ি" নামের উৎপত্তি হয়েছিল নল খাগড়ার বন থেকে। খাগড়াছড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে একটি ছড়া নদী। ওই ছড়া নদীর দু’পাড়ে গভীর নল খাগড়ার বন ছিল। এই নল খাগড়ার বন থেকেই ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি হয়েছিল।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে জেলার আনাচে-কানাচে সর্বোপরি প্রতিটি উপজেলায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তন্মধ্যে ৭৯৬ টি প্রাথমিক, ৪৬ টি নিন্ম মাধ্যমিক,৮৮ টি মাধ্যমিক,৩৪টি মাদ্রাসা,প্রায় ৫০ টি কওমী মাদ্রাসা, ২১ টি কলেজ,১ টি হোমিওপ্যাথিক কলেজ,১ টি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট,১৩ টি কারিগরি ও ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান এবং জেলা প্রশাসন কতৃক পরিচালিত ১টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় রয়েছে ।
যা থেকে প্রতি বছর বহু শিক্ষার্থী দেশের বড় বড় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিদেশে পাড়ি জমায় বিভিন্ন স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার জন্য। যা বহির্বিশ্বে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
জেলা'টি ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৩টি পৌরসভা, ৩৮টি ইউনিয়ন, ১২১টি মৌজা, ১৩৮১টি গ্রাম ও ১টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।যা জুড়ে রয়েছে বাঙালি,চাকমা,মারমা,ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি জাতির বসবাস।
এ জেলার আলাদা বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, গুহা,ঝর্ণা ইত্যাদি।
এ জেলায় রয়েছে ছোট বড় বহু পর্যটন স্পট।তন্মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলো; আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝর্ণা, দেবতার পুকুর, হর্টিকালচার পার্ক, তৈদুছড়া ঝর্ণা, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, মায়াবিনী লেক, শান্তিপুর অরণ্য কুঠির,মানিকছড়ি ডিসি পার্ক ইত্যাদি।
আরো পড়ুন- https://robiulhjihad.blogspot.com
.png)
Posts
.jpeg)
.jpeg)
