আত্মসম্মান নিয়ে গল্প: বংশীয় তালুকদারের জীবন থেকে শিক্ষা
রবিউল জিহাদ
আত্মসম্মান মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। কেউ সম্মান করুক বা না করুক, যে নিজের ভেতরে নিজেকে সম্মান করতে পারে, সেই আসল মানুষ। এই ব্লগে শেয়ার করা হলো এক বংশীয় তালুকদার পরিবারের ছেলের অনুপ্রেরণামূলক গল্প, যে শিখিয়েছে—আসল আত্মমর্যাদা ভিক্ষা করে পাওয়া যায় না, তা অর্জন করতে হয়।
বংশীয় তালুকদারের গল্প
গ্রামের ভোর। কুয়াশা ভেজা মাটির গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তালুকদার বাড়ির উঠানে রফিক দাঁড়িয়ে আছে। এটি কেবল একটি প্রেরণামূলক গল্প নয়, বরং জীবনের আত্মসম্মান শিক্ষা।
কাকা এসে বলল— “মানুষ তোকে আগের মতো আর সম্মান করে না। তালুকদার নাম থাকলেও এখন সে জোর নেই।”
রফিক মৃদু হেসে উত্তর দিল— “কেউ সম্মান করুক বা না করুক, আমি নিজেকে নিজে অনেক সম্মান করি। আত্মসম্মান নিয়েই বাঁচি।”
আত্মসম্মান বনাম বংশীয় পরিচয়
দিন কয়েক পর হাটে কেউ বলল—
তালুকদার বংশের ছেলে হয়ে সাধারণ ব্যবসা করছিস?
রফিক শান্তভাবে জবাব দিল— “কাজ কোনো ছোট-বড় জানে না। শ্রমই হলো মানুষের মর্যাদা। আত্মমর্যাদাই বংশের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য।”
এই উত্তর শুনে সবাই বুঝল— 👉 আসল গৌরব আসে চরিত্র থেকে, বংশের নামে নয়।
গল্পের শিক্ষা
রাতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রফিক নিজেকে বলল—
“পৃথিবী একদিন আমাকে ভুলে যাবে, কিন্তু আমি নিজের সঙ্গে ঠিক থাকব।
আত্মসম্মানই আমার একমাত্র উত্তরাধিকার।”
জীবনে যত বাধা আসুক, আত্মমর্যাদা আর আত্মসম্মান হারানো যাবে না। কারণ, “সম্মান মানুষের দান নয়, নিজের অর্জন।”